আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পেরুর প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাসিলোকে অভিসংশনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। এরপরেই ‘অভ্যুত্থান চেষ্টার’ অভিযোগে ক্ষমতা হারানো এই প্রেসিডেন্টকে আটক করেছে পুলিশ। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট দিনা বোলোয়ার্তে। এর আগে ক্ষমতা হারানো প্রেসিডেন্ট পেদ্রো প্রাসাদ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন । এমন বিদায়ের মাধ্যমে পেদ্রোর ১৭ মাসের শাসনের অবসান হলো। তার সময়ে পেরুর রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত ছিল। এই ১৭ মাসের মধ্যে তিনি পাঁচবার মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন আবার পরিবর্তন করেছেন । এই সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে দুইবার অভিসংশন এবং ছয়বার তদন্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাসিলোর বিরুদ্ধে আগেই অভিসংশনের প্রস্তাব দেন দেশটির সংসদের আইনপ্রণেতারা। বুধবার এ নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিজেকে রক্ষা করার জন্য পেদ্রো সংসদ ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি ডিক্রি জারি করেন এবং দেশ শাসনের কথা বলেন। টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে তিনি জানান, অস্থায়ীভাবে সংসদ ভেঙে দেবেন। ডিক্রির মাধ্যমে শাসনভার পরিচালনা এবং দেশে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করবেন। এই ঘোষণাকে অভ্যুত্থান হিসেবে উল্লেখ করেন তার নিজ দল। বিরোধী দলের সদস্যরাও একই মন্তব্য করেন। পেদ্রো এর আগে দেশটির বিচারবিভাগ নতুন করে সাজানোর ঘোষণা দেন। যারা তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগগুলো তদন্ত করছিল। তিনি এসব সিদ্ধান্ত নেয়াতে ক্ষুব্ধ হন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। এরপরেই তারা একে একে পদত্যাগ করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হয়নি পেদ্রোর। ‘সংবিধান পরিপন্থি অভ্যুত্থান চেষ্টায়’ ফেঁসে যান তিনি। এ কারণে ক্ষমতা হারানোর পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Discussion about this post