বিনোদন ডেস্ক: ক্ষতিপূরণ মামলার পর এবার ‘হাওয়া’ সিনেমার প্রদর্শন বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার। সোমবার চলচ্চিত্র সিন্সের বোর্ডে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি। ঢাকা টাইমসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, ‘হাওয়া’ সিনেমায় একটি শালিক পাখিকে আটকে রাখা এবং শেষ পর্যায়ে সেটিকে পুড়িয়ে খাওয়ার দৃশ্য নিয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোটিশটি পাঠিয়েছি আমরা।’ হাসান শাহরিয়ার বলেন, ‘এই সিনেমায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে। এতে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবে যে, বন্যপ্রাণী খাঁচায় আটকে রাখা যায়। তাই আমরা মনে করি, এই সিনেমার প্রদর্শন শিগগিরই বন্ধ হওয়া উচিত। আশা করি, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড বিষয়টি বুঝবে।’ এর আগে গত ১৭ আগস্ট ‘হাওয়া’র নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনের নামে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে ২০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেন বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নারগিস সুলতানা। মহানগর দায়রা জজ আদালতে বাদী হয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর ৩৮ (১-২), ৪১ ও ৪৬ লংঘনের অভিযোগে মামলাটি করেন তিনি। ‘হাওয়া’ যে আইনি প্যাঁচে পড়তে যাচ্ছে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল গত ১১ আগস্ট। এদিন বিকালে স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখায় গিয়ে সিনেমাটি দেখেন বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। এরপর তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই সিনেমায় বন্যপ্রাণী আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে। এর ছয় দিন বাদেই পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের নামে ২০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেন বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নারগিস সুলতানা। এবার সিনেমাটি বন্ধের জন্য দেওয়া হলো লিগ্যাল নোটিশ। প্রথম সিনেমাতেই একের পর এক বিপদ কীভাবে মোকাবিলা করবেন সুমন? এখন সেটাই দেখার। নাটক ও বিজ্ঞাপন বানিয়ে হাত পাকানো মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া’ প্রযোজনা করেছে সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, শরীফুল রাজ, নাজিফা তুষি, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল খান, সুমন আনোয়ারসহ অনেকে।
Discussion about this post