ঢাকা:ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, পবিত্র কোরআনের শিক্ষা ও আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা সম্ভব। শনিবার (৮ মার্চ) ঢাকায় অফিসার্স ক্লাবে বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতি, ঢাকা আয়োজিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ২০২৪-২৫ ‘আল কোরআনের আলোকযাত্রা গ্র্যান্ড ফিনালে’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।একশ্রেণির লোক নারীর প্রতি সহিংস আচরণ করে, এটা পরিহার করতে হবে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, তারা জানে না পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে একজন নারীর আর্তনাদের কারণে।পুরুষ এবং নারী একস্থান হতে উৎসারিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, পবিত্র কোরআনে নারীকে সম্মানিত করা হয়েছে। হাদিস শরীফে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় তিনি কোরআনের আদর্শ সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পবিত্র কোরআনের চর্চা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। কোরআনের অনুশীলন, অনুধাবন ও আহকামের প্রতি মনোযোগী হলে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র কাঠামো গঠন করা সম্ভব। তরুণদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, ‘বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে আমাদের আগামীর দিনগুলো সুন্দর হবে।’বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, জামালপুর জেলা সমিতি, ঢাকা-এর সভাপতি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ শাফিল মাহমুদ শামীম। অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সনদ বিতরণ করেন। বয়সভিত্তিক ৪টি গ্রুপে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিশিষ্ট ওলামায়ে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে নেত্রকোনা জেলার আব্দুল্লাহ সাঈদ মুনতাহা, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নেত্রকোনার দিদারুল ইসলাম এবং টাঙ্গাইলের আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ওয়াইসি তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
Discussion about this post