ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা স্বেচ্ছায় দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আজ সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ডিবি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ডিবি হেফাজতে থাকা ছয় সমন্বয়ক ভালো আছেন। তাদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করেছেন। তাদেরকে জোর করা হয়নি, তারা স্বেচ্ছায় বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন বন্ধের জোর করে ছয় সমন্বয়ককে দিয়ে বিবৃতি নেওয়ার অভিযোগটি গুজব। যারা গুজব ছড়িয়েছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ গুজব ছড়াবেন না। ডিবি একটি আস্থার জায়গা। সেখানে কাউকে আটকে রাখা হয় না। জোর করে বিবৃতি নেওয়া হয় না। তারা বরং অনুভব করেছে, সরকার তো সব দাবি মেনেই নিয়েছে। তারা আমাদের কাছে লিখিতভাবে বলেছে। যে কারণে তারা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ’ এসময় তিনি আরও জানান, ডিবি হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের শিগগিরই ছেড়ে দেওয়া হবে। এর আগে, গতকাল রোববার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হেফাজত থেকেই সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক। ছয় সমন্বয়ক স্বাক্ষরিত লিখিত বার্তায় বলা হয়, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে আহত-নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ সকল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাই। ’ তারা আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, যা ইতোমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে এই মুহূর্ত থেকে আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি। ’ লিখিত বার্তায় স্বাক্ষর করেন আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম।
Discussion about this post