ঢাকা: কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গত ১২ দিনের প্রায় ৯ হাজারের বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় করা পাঁচ শতাধিক মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন শুরু হয় ১ জুলাই। এরপর ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। এর পরদিন থেকে এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। সারাদেশে ঘটে যাওয়া এসব সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের বেশির ভাগ বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী। গ্রেপ্তার বেশির ভাগ ব্যক্তিকে বিভিন্ন কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অনেককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ডিএমপিতে বুধবার পর্যন্ত ২৬৪টি মামলায় প্রায় তিন হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর বাইরে নিহতের ঘটনায় এ পর্যন্ত ঢাকায় ৫৩টি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় নিহতদের পরিবার ও পুলিশ বাদী হয়েছে। এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে রাখা হয়েছে। গতকাল রাত পর্যন্ত তারা ডিবি হেফাজতেই ছিলেন।
Discussion about this post