স্টাফ রিপোর্টার: নাটোরে ১৪ বছর বয়সী কিশোর আসিফকে গলা কেটে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক জেল পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) এর একটি আভিযানিক দল। গোয়েন্দা নজরদারী ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ১১ ডিসেম্বর বিকেলে ৪ টা ০৫ মিনিটে কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন সুগন্ধা বীচ সংলগ্ন এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম- আব্দুল মজিদ (৩৯)। তিনি নাটোর জেলার সিংড়া থানা বড় শাঐল গ্রামের জাহেদ আলীর ছেলে। জানা যায়, ২০০৬ সালের প্রথম দিকে আসামি আব্দুল মজিদ (৩৯) অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য স্থানীয় একজন মহিলার বাসায় প্রবেশ করলে এলাকার লোকজন তাকে ধৃত করে। পরবর্তীতে ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় মেম্বার একটি সালিশি বৈঠক ডাকেন। সালিশি বৈঠক ডাকার কারণে আসামি ঐ মেম্বারের উপর ক্ষুব্ধ হন। উক্ত ঘটনার জের ধরে আসামি ২০০৬ সালের ০৪ জুলাই স্থানীয় ঐ মেম্বারের ভাগিনা আসিফ কে খুর দিয়ে প্রকাশ্যে গলা কেটে হত্যা করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা মোছা: মমতাজ বেগম বাদী হয়ে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত চার্জশীট আমলে নিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন। মামলাটির শুনানি শেষ হওয়ার পর ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর নাটোরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত আসামি আব্দুল মজিদ (৩৯) কে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। আসামি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আটক ছিলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত ০৬ আগস্ট কাশিমপুর কারাগারে হামলা-ভাংচুর ও বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষিতে আসামি আব্দুল মজিদ (৩৯) জেল থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। আসামি জেল পলাতক হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানা এলাকায় আত্মগোপনে থেকে দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছিলেন। এন্টি টেররিজম ইউনিটের একটি চৌকস দল গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই বাচাইপূর্বক আসামির অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Discussion about this post