ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারও আয় অস্বাভাবিকভাবে দৃষ্টিকটু মনে হলেও এই মুহূর্তে সরকারের কিছু করার নেই। সরকার এখন রুটিন ওয়ার্ক করছে। নির্বাচনে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে রাজনীতি ও সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সম্প্রতি প্রার্থীদের হলফনামা থেকে তথ্য নিয়ে সম্পদ বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টিআইবি। সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনসমর্থন না থাকায় বিএনপির আন্দোলনে মরচে ধরে গেছে। জনসমর্থন থাকলে সরকার উৎখাত করতে কোনো দলকে চোরাগোপ্তা হামলা করতে হতো না।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশকে দেউলিয়া বানিয়েছিল, সেই দেশকে আমরা উন্নয়নের পথে নিয়ে গেছি।’ মার্কিন ভিসানীতি ‘ভুয়া’ কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও সময় আছে। তারা যা বলেছে কথার সঙ্গে কাজের মিল আছে কি না, সেটা দেখার এখনও সময় আছে। একটু ধৈর্য ধরুন। সেটা দেখার এখনো সময় আছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুস্পষ্টভাবে কথা বলেছে, এখন এ প্রশ্নটা তাদেরই করা উচিত। এ প্রশ্নের জবাব আমার দেওয়ার কিছু নেই। সেটার জবাবে তারা কোনও কৌশল অবলম্বন করেছে কি না জানি না। আমরা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার, পিসফুল, ক্রেডিবল ইলেকশন চাই। তিনি বলেন, সর্বশেষ ২৮ অক্টোবরের নগ্ন নৃশংসতার কারণে জনগণ বিএনপি থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মানুষ তাদের কোনও কর্মসূচিকে বিশ্বাস করে না। হরতালে না, অবরোধে না, এইসব কর্মসূচি জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রত্যাখ্যান করেছে বলেই জনসমর্থণের অভাবে তারা সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে পড়েছে এবং তারা আগুনসন্ত্রাস করছে। আজ তারা বাস পোড়াচ্ছে, ট্রেন পোড়াচ্ছে , মানুষ মারছে, চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। অনেক স্থানে নৌকার প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ওপর হামলা, প্রচারে বাধার ঘটনা ঘটেছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী, নৌকার প্রার্থী কেউ বয়কট করবে না। ইলেকশনে এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, শাখাওয়াত হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
Discussion about this post