আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দাশত-ই-বারচি এলাকায় আবদুল রহিম শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই বোমা হামলা আত্মঘাতী বলে ধারণা করছে প্রশাসন। এতে প্রাথমিকভাবে ছয়জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত ও আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরানের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, রাজধানীর পশ্চিমাঞ্চলের আবদুল রহিম শহিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের বাইরে দুটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) পেতে রাখা হয়। বিস্ফোরণে কমপক্ষে ছয়জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছে। খালিদ জাদরান আগের একটি টুইটে বলেন, শিয়া হাজারা সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় থাকা বিদ্যালয়টি তিনটি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু এই সম্প্রদায়ের ওপর অতীতে বহুবার হামলা চালিয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠী। প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানায়, সকালের শিফটে ক্লাস শেষে ফেরার পথে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায় কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। আফগানিস্তান থেকে গত বছর বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহার করার পর এবং শীতের সময়টায় সহিংসতা কিছুটা বন্ধ ছিল। গত বছর আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আইএসের সন্দেহভাজন আস্তানায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে তালেবান। মূলত পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। ২০২১ সালের মে মাসে দাশত-ই-বারচি এলাকায় স্কুলের কাছে বিস্ফোরণে ৮৫ জন নিহত এবং ৩০০ জন আহত হয়। নিহতদের বেশিরভাগই ছিল ছাত্রী। ওই হামলার দায়ও কেউ স্বীকার করেনি। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসেও এই এলাকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আত্মঘাতী হামলা হয়। হামলায় শিক্ষার্থীসহ ২৪ জন নিহত হয়। তবে সেবার আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
Discussion about this post