ঢাকা: কুমিল্লার কোরআন অবমাননার ঘটনার জের ধরে ঢাকার কাকরাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। শনিবার রমনা ও মতিঝিল থানায় পুলিশের করা এ দুই মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় চার হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। দুই মামলাতেই আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। পল্টন থানার মামলায় খেলাফত আন্দোলনের আমির জাফরুল্লাহ খানসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। আর রমনা থানার মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা প্রায় দেড় হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। পল্টন থানার ওসি সালাউদ্দিন মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, যে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৬ জনকে শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর সংঘর্ষের সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল। আমির জাফরুল্লাহসহ পাঁচজন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, গ্রেফতার ছয়জনকে শনিবার আদালতে হাজির করলে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, তার থানার মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা প্রায় দেড় হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। তিনি বলেন, যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, শুক্রবার সংঘর্ষের সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। শনিবার আদালতে হাজির করা হলে তাদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লার নানুয়ারদিঘি পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার একটি খবর গত বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঁদপুর, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় উপাসনালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। চাঁদপুরে পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। ওই ঘটনার পর বুধবার রাতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জরুরি ঘোষণায় প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননা সংক্রান্ত খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খবরটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতোমধ্যে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
Discussion about this post