নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সরকারি মোবাইলফোন নম্বর ক্লোন করে চাঁদা দাবির অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ওসির সরকারি নম্বর থেকে তিনজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েকজনকে কল করে চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক নিজেই জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেচেন। তিনি বলেন, প্রতারক চক্রকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সাড়ে ৯টার দিকে চরজব্বার থানার ওসি মো. জিয়াউল হকের সরকারি নম্বর থেকে আমার ফোনে কল আসে। এ সময় অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রশাসনিক সহযোগিতা নিতে চাইলে টাকা দিতে হবে। তখন আমি বলি- জনগণ চাইলে আমি নির্বাচিত হব, না চালে হব না। অপর প্রান্ত থেকে বলে- আপনি আমাকে বিশ্বাস করেন না? তিনি আরও বলেন, ওসির সঙ্গে আগে তেমন একটা কথা হয়নি। তাই কণ্ঠ চিনতে পারিনি। ফোন পেয়ে কিছু টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। পরে ফোনে বিষয়টি সহকর্মীকে জানাই। তখন তিনি বলেন- ‘আমাকেও ফোন করেছে টাকার জন্য আমি ওসির কণ্ঠ বুঝি, আমি পরিচয় জানার পর ফোন কেটেদিয়েছি।’ চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার(ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, তার সরকারি মোবাইল ফোন নম্বরের মধ্যে ০১৩২০ কোডের একটি নম্বর ক্লোন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনভর সরকারি এই নম্বর থেকে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোন করে কৌশলে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ তিন ব্যক্তি বিষয়টি তাকে জানান। প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। ওসি আরও বলেন, নম্বর ক্লোন করে চাঁদা নেওয়ার ঘটনায় চরওয়াপদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন থানায় একটি জিডি করেছেন। বিকাশ ও বিভিন্ন এজেন্টের সহায়তায় ২ লক্ষ টাকা উদ্ধার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাকি টাকাসহ তাদেরকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post