স্পোর্টস রিপোর্ট: ৫১ রানে জীবন পাওয়া জয় তামিমের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে শক্ত ভিত গড়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশকে। ইতিমধ্যেই তাদের জুটি পার করে ফেলেছে ১৫০ রানের ঘর। অবশেষে পাঁচ বছর পর ওপেনিং জুটিতে এলো শতরান। চট্টগ্রাম টেস্টে ৪২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৫০ রান। তামিম ৮৪ আর জয় ৫৬ রানে অপরাজিত আছেন ১১০ বলে হাফসেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। পাঁচ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। ফিফটির পরই ব্যক্তিগত ৫১ রানের মাথায় ক্যাচ দিয়েছিলেন জয়। ইনিংসের ৩৯তম ওভারে আভিষ্কা ফার্নান্ডোর বলে পুল করেছিলেন ডানহাতি এই ওপেনার। কিন্তু ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে তার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন এম্বুলদেনিয়া। এর আগে দীর্ঘ পাঁচ বছর বা ৬২ মাস পর প্রথম উইকেটে ১০০ রানের জুটি গড়েন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। নিজ শহরের মাঠে ক্যারিয়ারের ৩২তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন তামিম। সবশেষে ২০১৭ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরের গল টেস্টে শতরানের জুটি পেয়েছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার গড়েছিলেন ১১৮ রানের জুটি। সেই ম্যাচের পর গত ৬২ ম্যাচে ৩১টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু কখনও শতরানের উদ্বোধনী জুটির দেখা পেলেনি। অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে তামিম-জয় এনে দিলেন উদ্বোধনী জুটিতে শতরান। দুজনই খেলছেন সাবলীলভাবে। দুজনের সামনেই বড় ইনিংস খেলার সম্ভাবনা। শ্রীলঙ্কার ৩৯৭ রানের জবাবে আগেরদিন বিকেলে ১৯ ওভারে ৭৬ রান করেছিল বাংলাদেশ। আজ রমেশ মেন্ডিসকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করে লঙ্কানরা। দিনের প্রথম ওভার থেকে ছড়ানো ফিল্ডিং দেওয়া হয় তামিমকে। সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন এ অভিজ্ঞ ওপেনার। বাহারি সব শটে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। অন্যদিকে রয়েসয়ে খেলতে থাকা জয়ও করে ফেলেছেন ৩৭ রান। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটির সামনে দাঁড়িয়ে এ তরুণ ওপেনার। তামিমকে দারুণভাবে সঙ্গ দিচ্ছেন তিনি। এ দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েই টেস্ট ক্রিকেটে উদ্বোধনী জুটিতে অষ্টমবারের মতো শতরানের দেখা পেলো টাইগাররা। গত ৬২ মাসে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে মোট ৪৭টি শতরানের উদ্বোধনী জুটির দেখা মিলেছে। কিন্তু একটিতেও ছিলো না বাংলাদেশের নাম। এই সময়ের ১৫টি ভিন্ন উদ্বোধনী জুটি ব্যবহার করে দশবার ৫০ রান পায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে তামিম-সৌম্য ৯৫ এবং তামিম ও সাইফ হাসান গড়েন ৯৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।
Discussion about this post