আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রথম পর্বে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গড়িয়েছে দ্বিতীয় পর্বে। আজ রবিবার সেই ফল নির্ধারণী পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে নির্ধারণ হবে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানই আরও ৫ বছর ক্ষমতায় থাকছেন নাকি নতুন কোনো মুখ নির্বাচন করবে তুর্কিরা। এদিকে গতকাল বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত পর্বের নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে এরদোগান ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিশদারোগলু কাদা ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত হয়েছেন। বিরোধী শিবির বলছে, এরদোগান লাখ লাখ সিরীয় শরণার্থী বহিষ্কারাদেশ দিয়ে জাতীয়তাবাদী চাল চালছেন। আর এরদোগান বলছেন, কামাল কিলিশদারোগলুর জয় মূলত সন্ত্রাসীদের জয় হবে। প্রথম পর্বে এরদোগান ৪৯.৫ শতাংশ ভোট পান আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামাল কিলিশদারোগলু পাব ৪৪.৮ শতাংশ ভোট। প্রথম পর্বের অল্পের জন্য জয় হাতছাড়া হয় এরদোগানের। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে হিসাবটা কিছুটা জটিল হয়ে পড়েছে। কেননা প্রথম পর্বের নির্বাচনে তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রার্থী সিনান ওগান এই পর্বে ‘কিং মেকারের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এরদোগান ও কামালের মধ্যে সিনান যাকে সমর্থন দেবে চূড়ান্ত পর্বে তার জয়ের সম্ভাবনা অনেকটা বাড়বে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে তেমন উৎসাহ লক্ষ করা যাচ্ছে না। কেননা দুই সপ্তাহ আগেই নির্বাচন হয়ে গেল। প্রসঙ্গত, তুরস্কে প্রেসিডেন্ট শাসন চালুর পর এবারই প্রথম দ্বিতীয় দফা (রান-অফ) ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরদোগান দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। সেটি প্রথম দফা নির্বাচনে উঠে এসেছে। বিষয়টি এরদোগানবিরোধী শিবিরের জন্য বড় ধাক্কা। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ক্ষত এখনো শুকায়নি। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমসহ কিছু পর্যবেক্ষক বলেছিলেন, এবার হয়তো এরদোগানের অধ্যায় শেষ হতে চলেছে। কিন্তু প্রথম দফা নির্বাচনের পর তাদের সেই ধারণা পাল্টেছে। এরপরও আজকের নির্বাচনের দিকে বিশ্বের অনেকেই তাকিয়ে থাকবেন।
Discussion about this post