সৌমিত্র সুমন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: এবার ৪৩৭০০ মেট্রিক টন ওপিসি ক্লিংকার ও ১০১০০ মেট্রিকটন লাইমস্টোন নিয়ে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে ভিড়েছে মেঘনা হারমোনি নামের একটি মাদার ভ্যাসেল। বুধবার মধ্যরাতে এটি বন্দরের ইনার এ্যাংকোরেজে এসে পৌছায়। ১৮৯.৯৯ মিটার দৈর্ঘ্য, ৩২.২৬ মিটার প্রস্থ ওবর্তমানে ১২.৭০ মিটার গভীরতার জাহাজটির লাইটারের মাধ্যমে চলছে পন্য খালাস কার্যক্রম। এর আগে গত ০৯ ডিসেম্বর জাহাজটি ভিয়েতনামের নাগি সন বন্দর থেকে পায়রার আউটারেজে এসে পৌছায়। জাহাজটি আউটারে থাকা অবস্থায় ১৬ হাজার মেট্রিকটন কার্গো খালাস করা হয়। আজ রাতে ৬০ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন লাইমস্টোন নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করবে মেঘনা গ্রুপে আরো একটি জাহাজ। এছাড়া বন্দরে আগমনের উদ্দেশ্যে এই গ্রুপের আরও ৫ টি জাহাজের এলসি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক বন্দরের নিজস্ব জলযানযোগে বন্দরের ইনার এ্যাংকোরেজে থাকা এই জাহাজটি পরিদর্শন করেন। এসময় বন্দরেরর উধর্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পায়রা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক ও মিডিয়া উইংস আজিজুর রহমাস জানান, ২০১৬ সাল থেকে দেশী বিদেশী ২৩০০ জাহাজের পন্য খালাসের মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষ আয় করেছে ১১শ কোটি টাকা। পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়াল এ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক বলেন, পায়রা বন্দর স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রীণ ফিল্ড পোর্ট হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগের উন্নয়নে মূলত বন্দরটি কাজ শুরু করেছিল। গত বছর ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ সমাপ্ত হয়েছিল। এখন চলছে মেইনটেইন্সের কাজ। মেঘনা গ্রুপসহ দেশের বড় বড় গ্রুপ অব কোম্পানি এই বন্দর ব্যবহার করতে শুরু করছে। আশা করি আগামিতে দেশের আরো বড় বড় কম্পানি ব্যবহার করবে এই বন্দর। একের পর এক মেঘনা গ্রুপের জাহাজ বন্দরে প্রবেশ করায় এটি বন্দরের একটি মাইল ফলক বলে মনে করেন তিনি।
Discussion about this post