ঢাকা: তৃণমূল বিএনপিতে দলের সাবেক দুই নেতার যোগদানের পর নড়েচড়ে বসেছে বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা। বহিষ্কৃত দুই শতাধিক নেতাকে দলে ফেরানোসহ দলের শূন্য পদ পূরণের উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। জিয়া পরিবারের প্রতি আস্থাশীল থেকে ভুল স্বীকার করে দলে ফেরার আবেদন করতে বলা হয়েছে অনেককেই। খুলনায় বিএনপির রাজনীতিতে গত তিন যুগের বেশি সময় ধরে পরিচিত মুখ সাবেক মহানগর সভাপতি ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। কিন্তু তাঁকে ও তাঁর অনুসারীদের বাদ দিয়ে ২০২১ সালে ৯ ডিসেম্বর ঘোষিত হয় মহানগর-জেলা কমিটি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হোন তিনি। দলের সিদ্ধান্তে আপত্তি তোলায় পদ হারান খুলনার সাবেক এই ডাক-সাইটের নেতা। আর দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিটি নির্বাচন করায় পদ হারান কুমিল্লার প্রভাবশালী নেতা মনিরুল হক সাক্কু। একই অপরাধে গাজীপুর, বরিশাল, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনার শতাধিক নেতাকেও বহিষ্কার করে বিএনপি। এছাড়া দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙায় ২০১৮ সালের পর এমন বহিষ্কার নেতার সংখ্যা কয়েকশ’। বহিষ্কার হলেও দলীয় কমকাণ্ডে নিয়মিত অংশ নেন তাদের অনেকেই। কিন্তু গুরুত্ব পাননি কখনো। সম্প্রতি তৃণমূল বিএনপির তৎপরতায় দৃশ্যপট বদলেছে। সম্প্রতি তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএম ঘিরে রাজনৈতিক অঙনে নানা আলোচনা থাকলেও বহিষ্কৃত নেতারা জানান, ওই সব দলে যাওয়ার প্রস্তাব আসলেও মূল ধারার বাইরে যেতে চান না তারা। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সঙ্গে। তারা জানান, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে লঘু অপরাধ করা নেতাদের ফেরানো হবে দলে। এছাড়া পদত্যাগ ও মৃত্যুজনিত কারণে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সব শূন্য পদে আন্দোলনে সক্রিয়দের পদায়নের কাজ শুরু হয়েছে বিএনপিতে।
Discussion about this post