ঢাকা : বিএনপি এককভাবে আন্দোলন করার সক্ষমতা হারিয়ে এখন অন্যদের দলে টানার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কোন প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপি’র ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিবে না। বিএনপিই এখন গভীর সংকটে আছে। আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন দিশেহারা পথিক। নেতৃত্ব সংকটে ভুগতে থাকা বিএনপির সামনে এখন শুধুই মরিচিকা। দলটি নেতারা এখন দিনের আলোতেই অমাবশ্যার অন্ধকার দেখে, কারণ তাদের চেয়ারপারসন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী, আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। ‘সরকার তারেক রহমানকে নির্বাসনে রেখেছে’, বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, সরকার তারেক রহমানকে নির্বাসনে রাখে নাই। বরং সে নিজেই রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে। সেটা ছিলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। তা দেশবাসীসহ সকলেই জানেন। বিএনপিকে হাতের তালু দিয়ে আকাশ ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা না করার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ অবিরাম মিথ্যাচার শুনতে শুনতে এখন আপনাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত নির্বাচনের আগেও বিএনপির ঐক্যের চেহারা দেশের মানুষ দেখেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিবেকবান, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ও গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক কোন নেতৃত্ব গণতন্ত্রের হন্তারক বিএনপির নেতৃত্বাধীন উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সমর্থন করবে না।এ বিষয়টি বুঝার সক্ষমতাও তারা হারিয়েছে। কিন্তু বিএনপি না বুঝলেও জনগণ ঠিকই বোঝে। তিনি বলেন, নিজ দলের মধ্যেই যাদের ঐক্য নেই তারা আবার অন্যদের নিয়ে ঐক্য করবে কিভাবে? বিএনপি ও তার সমমানদের মধ্যে ঐক্যের চেয়ে বরং দূরত্বই বেশি দৃশ্যমান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। এ নিয়ে সংশয়ের কোন অবকাশ নেই। বরং বিএনপি নির্বাচন দাবি করলেও নির্বাচনের মাঠ থেকে শেষ পর্যন্ত সরে যায় কিনা তা নিয়ে দেশের মানুষ শঙ্কায় আছেন, কারণ বিএনপি নির্বাচন ও জনগণকে ভয় পায় তাই তারা গণরায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।
Discussion about this post