ঢাকা: এই সরকার আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। কারণ এই দেশ তৈরি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। এই দেশে কোনো স্বৈরাচারের স্থান নাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের উদ্যোগে ভোটার অধিকার ফিরে পেতে চাই শীর্ষক এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। দুদু বলেন, যে জাতি মুক্তিযুদ্ধ করেছে, এক সাগর রক্ত দিয়েছে গণতন্ত্রের জন্য, অধিকারের জন্য এবং বিজয় লাভ করেছে। সে দেশের জনগণ স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এসে আজ ন্যূনতম অধিকারও পাচ্ছে না। সে তার পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার ক্ষমতা রাখছে না। বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে দাবি করা হয় তারা ক্ষমতায় আসলে দেশের জনগণ কিছু পায়। এদেশ থেকে লাখো-কোটি টাকা বিদেশে প্রচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে টাকা পাচার, দুর্নীতি গুম খুন ছাড়া আর কিছুই হয় না। দুদু বলেন, মিথ্যা তথাকথিত মামলায় চার বছর ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন দেশকে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেছে সরকার। বেগম খালেদা জিয়া সত্যের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক। মানুষের অধিকার আদায়ের স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার স্বামী এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এমন একজন নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় তারা বন্দী করে রেখেছে এর চেয়ে স্বৈরাচারী আর কি হতে পারে? তিনি বলেন, আমরা কর্মসূচি দিলেই সরকার বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচি দেওয়া হয়। বিরোধীদল যে সময় যে জায়গায় কর্মসূচি ঘোষণা করে ঠিক সেই জায়গায় ওই সময় তারা কর্মসূচি ঘোষণা করে। এত বড় স্বৈরাচারী ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলেও দেখা যায়নি। দুদু বলেন, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে আওয়ামী লীগ পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করছে। এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে একদিন তাদের বেদনা দায়ক হয়ে দাঁড়াতে পারে। তখন সব দায়ভার এ সরকারকে নিতে হবে। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ন আহ্বায়ক রাশেদ খান, জিনাফ এর সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সংগঠনের সভাপতি মোখতার আকন্দ প্রমুখ।
Discussion about this post