আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইরান ও ইরাককে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে বলে মনে করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানী তেহরানে ইরাকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল আমির আল-শাম্মারির সঙ্গে এক বৈঠকে এই আহ্বান জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা ব্যাহত করতে দখলদার ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক ভূমিকা রয়েছে এবং এই শাসনব্যবস্থা হলো আধিপত্যবাদী ব্যবস্থার একটি প্রকল্প, যার লক্ষ্য দেশগুলোর সম্পদ লুণ্ঠন, দখল, দুর্বল করা এবং গোটা অঞ্চলকে বিভাজিত করা।তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরান ও ইরাকের এই সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে একসঙ্গে অবস্থান নেওয়া উচিত, পরস্পরের পাশে থাকা উচিত এবং বিভাজন থেকে বিরত থাকা উচিত।প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক ভ্রাতৃত্বপূর্ণ এবং গভীর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।তিনি বলেন, ‘আমরা ইরাকসহ অন্যান্য ইসলামি দেশের সরকার ও জনগণকে আমাদের ভাই মনে করি এবং ইসলামি উম্মাহর মধ্যে ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ব দৃঢ় করার চেষ্টা অব্যাহত রাখব।’প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান আরবাঈন তীর্থযাত্রার সময় ইরানি তীর্থযাত্রীদের প্রতি ইরাকি সরকার ও জনগণের আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।তিনি আশা প্রকাশ করেন, আরবাঈন আয়োজনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে যে সমন্বয় হচ্ছে, তা ভবিষ্যতে সীমান্ত বাজার চালু, যৌথ বিনিয়োগ এবং একাডেমিক বিনিময়সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করবে।ইরাকি মন্ত্রী আল-শাম্মারি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের কাছে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন এবং জায়নিস্ট শত্রুর বিরুদ্ধে ইরানি জনগণের প্রতিরোধকে অভিনন্দন জানান।তিনি বলেন, আরবাঈন উপলক্ষে কয়েক মিলিয়ন তীর্থযাত্রীকে সেবা দিতে ইরাকি সরকার যাতায়াত, স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।আল-শাম্মারি বলেন, এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে সুন্দরভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে ইরাকি সরকার সর্বোচ্চ সক্ষমতা কাজে লাগাচ্ছে এবং শেষ তীর্থযাত্রী দেশ ত্যাগ না করা পর্যন্ত এই প্রস্তুতি ও সমন্বয় অব্যাহত থাকবে।
Discussion about this post