আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরালেকে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সাহায্য করে এটা সবাই জানে । কিন্তু আরও বেশ কয়েকটি দেশও এটি করে থাকে এবং করে ফিলিস্তিন বিরোধীতাসহ ইসলামফোবিয়ার কারণে। ৮ মে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে একটি সাক্ষাৎকার দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাতে বাইডেন হুমকি দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী গাজার রাফায় পূর্ণমাত্রায় অভিযানের নির্দেশ দিলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে তার অস্ত্রের চালান বন্ধ করে দিতে পারে। এই অস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসাও করে। সারা দুনিয়া জুড়ে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ টিকিয়ে রাখা ও নিজেদের অস্ত্র বিক্রি করা যুক্তরাষ্ট্রের অতি পুরনো কৌশল। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় কোন দেশ ইসরায়েলকে কেমন ও কত অস্ত্র সরবরাহ করেছে, করছে: যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির শীর্ষ রিপাবলিকান সদস্য জিম রিশচ ৯ মে বলেন, ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহের প্রস্তাব অনুমোদনের প্রক্রিয়া অনেকটাই ধীরগতি পেয়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েল যে পরিমাণ সামরিক সহায়তা পেয়েছে, তার ৬৯ শতাংশ সরবরাহ করেছে ওয়াশিংটন। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) এ তথ্য জানিয়েছে। জার্মানি গত ১০ এপ্রিল জার্মানির অর্থ মন্ত্রণালয় পার্লামেন্টে জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকে ইসরায়েলে সব মিলিয়ে ৩২ হাজার ৪৪৯ ইউরোর অস্ত্র সরবরাহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসআইপিআরআই বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েল যে পরিমাণ সামরিক সহায়তা পেয়েছে, তার ৩০ শতাংশ সরবরাহ করেছে জার্মানি। ইতালি ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র ৯ মে জানিয়েছে, ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহের অনুমোদন স্থগিত রাখা হয়েছে। গত নভেম্বরে ইসরায়েলে অস্ত্রের সর্বশেষ চালান পাঠিয়েছে রোম। ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রসেত্ত গত মার্চে বলেছিলেন, ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠিয়েছে ইতালি। এসআইপিআরআই বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েল যে পরিমাণ সামরিক সহায়তা পেয়েছে, তার দশমিক ৯ শতাংশ সরবরাহ করেছে ইতালি। যুক্তরাজ্য যুক্তরাজ্য গত বছর কোম্পানিগুলোকে অন্তত ৫২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ইসরায়েলে রপ্তানি করার অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে গোলাবারুদ, অজ্ঞাত আকাশযান, ছোট আকারের ও বহনযোগ্য গোলা এবং যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও রাইফেলের সরঞ্জাম রয়েছে। এছাড়া কানাডা ও নেদারল্যান্ডস ও অনিয়মিত অস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে অভিযোগ ও প্রমাণ রয়েছে।
Discussion about this post