আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সামরিক ঘাঁটিগুলোতে পৃথক চারটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। দুটি নিরাপত্তার সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ঘাঁটির ভেতরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সেখানে মার্কিন সেনা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাহিনীর সেনারা রয়েছে। ইরাকি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ঘাঁটির আশেপাশের এলাকা বন্ধ করে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। হামলায় হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। এদিকে একই দিন বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন বাহিনীর আরেকটি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরাকি পুলিশ। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। আগের দিন বুধবার ইরাকে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে লক্ষ করে দুটি পৃথক ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল। একটি হামলায় অল্প সংখ্যক সৈন্য সামান্য আহত হয়েছে। গত সপ্তাহে, ইরানের সঙ্গে জোটবদ্ধ ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। তারা বলেছে, ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন করে তাহলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে তারা। বৃহস্পতিবার ইরাকের প্রতিরোধ ফ্রন্ট ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় ‘আল হারির’ সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায়। এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে তারা। গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ না হলে তারাও এই যুদ্ধে নিজেদের জড়াবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এদিকে ইয়েমেন উপকূলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়েছে। পরে সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের আড়াই হাজার সৈন্য রয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশী সিরিয়ায় আছে আরও ৯০০ সেনা। ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্থানীয় বাহিনীকে পরামর্শ ও সহায়তার অভিযানে ২০১৪ সাল থেকে উভয় দেশের ব্যাপক এলাকায় মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়।
Discussion about this post