আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী ইমরান খান আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে লাহোর, মিয়ানওয়ালি ও ইসলামাবাদ এই তিনটি আসনে লড়বেন বলে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) গত বুধবার ( ২০ ডিসেম্বর) ঘোষণা দিলেও তার স্ত্রী বুশরা খান নিজে অংশ নেবেন না বলে শুক্রবার ( ২২ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন। বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন ইমরান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের বোন আলিমা খান বলেছেন তিনি কিংবা তাঁর কোনো বোনই আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন না। ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে আলিমা খান বলেন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না। ইমরানের বোন আলিমা বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের সঙ্গে ভুট্টোর মতো আচরণ করা যাবে না। কারণ, ভুট্টোর সময়ে এখনকার মতো তরুণ প্রজন্ম ছিল না। ইমরানের স্ত্রী বুশরা অভিযোগ করেন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের প্রধান নওয়াজ শরিফ এখন তাঁর দুজন আম্পায়ার ঠিক করে রেখেছেন এবং এখন আর মাঠে (নির্বাচনের মাঠ) কোনো খেলোয়াড়কে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে বৃহস্পতিবার ( ২১ ডিসেম্বর) তোশাখানা মামলায় ট্রায়াল কোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরানের করা আবেদনটি খারিজ হয়ে যায়। তোশাখানা মামলায় হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইমরানের দল পিটিআই। পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের রায়টিকে কারাবন্দী পিটিআইপ্রধানের জন্য আরেকটি ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এর মধ্য দিয়ে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত থেকে হতে পারেন। এ সাজা ঘোষণার কারণে ইমরান পাঁচ বছর নির্বাচনে লড়তে পারবেন না। তবে চলতি বছরের আগস্টের শেষের দিকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরানের বিরুদ্ধে ওই দণ্ড স্থগিত করেন।
Discussion about this post