স্পোর্টস রিপোর্ট: কাতার বিশ্বকাপের চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে চতুর্থ এবং শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনালে চলে গেল বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ফাইনালে ওঠার লড়াই তাদের খেলতে হবে ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রথমবার সেমিতে ওঠা মরক্কোর বিপক্ষে। শনিবার বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ১টায় আল বায়েত স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচে বল দখল ও আক্রমণে ফ্রান্সের চেয়ে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। পুরো ম্যাচের ৫৮ শতাংশ সময় নিজেদের কাছে বল রাখতে সক্ষম হয় ইংলিশ ফুটবলাররা। ফ্রান্সের গোলবারে তারা মোট শট নেয় আটটি। গোল পায় মাত্র একটি। অন্যদিকে ৪২ শতাংশ সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে ফরাসি ফুটবলাররা। আক্রমণেও ইংল্যান্ডের চেয়ে পিছিয়ে ছিল দলটি। প্রতিপক্ষের গোলবার বরাবর তারা মোট শট নিতে পেরেছে ছয়টি। এতেই এসেছে দুটি গোল। এদিন সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে খেলতে নেমে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে দুই দলই। ১৮তম মিনিটে দুর্দান্ত এক শটে গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন টিচুয়ামেনি। মাঝমাঠে গ্রিজম্যানের থেকে বল পেয়ে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের বুলেট গতির শটে গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ফ্রান্স। দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে ইংল্যান্ড। ৫৪তম মিনিটে গোলও পেয়ে যায় ইংলিশরা। এ সময় ডান পাশ থেকে বল নিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন সাকা। ডি বক্সের ভেতর শট নিবেন এমন সময় তাকে ফাউল করে বসেন টিচুয়ামেনি। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফেরান ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। তবে এই সমতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এ সময় অ্যান্তনি গ্রিজম্যানের নেয়া কর্নার কিক থেকে আসা বল হেড করে ইংল্যান্ডের জালে পাঠিয়ে দেন ফ্রান্সের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলকারী ওলিভার জিরুড। এরপর ৮৪তম মিনিটে ফের সমতায় ফেরার সুযোগ আসে ইংলিশদের সামনে। তবে কাজে লাগাতে পারেননি। দ্বিতীয়বার পেনাল্টি কিকের সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন দলনেতা হ্যারি কেইন। ফলে শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রেখে ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে সেমিফাইনালের টিকিট পায় ফ্রান্স।
ফ্রান্স একাদশ (ফরমেশন ৪-২-৩-১): হুগো লোরিস, কুন্ডে, ইব্রাহিমা কোনাটে, ডায়ট উপামেকানো, হার্নান্দেজ, আদ্রিয়েন রাবোয়িত, অরেলিয়েন টিচুয়ামেনি, ওসমানে ডেম্বেলে, অলিভার গিরুদ, আন্দোনিও গ্রিজম্যান, কিলিয়ান এমবাপ্পে কোচ: দিদিয়ের দেশম
ইংল্যান্ড একাদশ ফরমেশন (৪-২-৩-১): জর্ডান পিকফোর্ড, হ্যারি ম্যাগুইরে, জন স্টোনস, লুক শ, কাইল ওয়াকার, হেন্ডারসন, ডেকলান রাইস, জুড বেলিংহ্যাম, হ্যারি কেইন, ফিল ফোডেন, বুকায়ো শাকা।
Discussion about this post