ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- জাতির পিতার এই মূলমন্ত্রকে পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হিসেবে মেনে চলছি। কিন্তু যদি কখনও বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়, তা যাতে মোকাবিলা করতে পারি সেজন্য উপযুক্ত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের ইবিআরসিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ১০ম টাইগার্স পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একটি পেশাদার, প্রশিক্ষিত ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কম্বাইন্ড আর্মস স্কুল এবং সেনাবাহিনীর প্রতিটি কোরের জন্য স্বতন্ত্র ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। তার শাসনামলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করা হয়। তিনি ভারত ও যুগোস্লাভিয়া থেকে নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধ জাহাজ সংগ্রহ করেন। তিনি সে সময়ের অত্যাধুনিক সুপারসনিক মিগ-২১ যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান, এয়ার ডিফেন্স রাডার ইত্যাদি বিমান বাহিনীতে যুক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশে রূপান্তরিত করতে চাই। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। আমাদের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী সবসময় দেশ ও জনগণের পাশে আছে। যেকোনো দুর্যোগে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তাদের পাশে দাঁড়ায়, শুধু দেশে নয় বিদেশেও। তিনি বলেন, আমরাই সর্বপ্রথম সেনাবাহিনীতে ২০০০ সালে দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে মহিলা অফিসার নিয়োগ এবং ২০১৩ সালে মহিলা সৈনিক ভর্তির যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিই। ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবায়ন করছি।
Discussion about this post