ঢাকা: সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচনে সরকারি কোনো হস্তক্ষেপ হবে না। শুধু মাত্র সরকার তার রুটিন মাফিক কাজ করবে। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সকল ক্ষমতা দেবে শেখ হাসিনার সরকার। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভায় এ তথ্য জানান তিনি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবাইকে অনুরোধ করবো, ডিসেম্বর মাস খুব বেশি দূরে নয়। আমাদের সম্পাদক মণ্ডলীতে যারা আছেন যত দ্রুত সম্ভব আপনারা উপকমিটিগুলোর খসড়া করে ফেলেন। এখনো সহযোগী সংগঠন একটি কমিটি করতে পারেনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-উত্তরেরও অনেকগুলো কমিটি বাকি রয়েছে। তিনি বলেন, নেত্রীর নির্দেশ এই কমিটিগুলো দ্রুত করতে হবে। জনসংযোগ করতে হবে, ঘরে ঘরে যেতে হবে। নির্বাচন বেশি দূরে নয়। যে যা বলে বলুক, এরই মধ্যে আমাদের সমাবেশগুলো করবো। আগামীকাল আমরা ইউনিয়নগুলোতে সমাবেশ করবো। মাঝে মাঝে মহাসমাবেশও করবো। এছাড়া আগামী ১১ই মার্চ ময়মনসিংহে এবং ১৮ মার্চে বরিশালে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা নির্বাচনের জন্য কর্মসূচি পালন করি। সংঘাত চাই না। ফাঁকা মাঠে আমরা গোল দিব না। সবাইকে বলছি, নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনে আর কোনো সুযোগ নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দুর্নীতিবাজদের ধরে রাখতে দলীয় গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বাতিল করেছে। সেই দল এখন গণতন্ত্রের কথা বলছে। আন্দোলনের কথা বলছে। মূলত তারা ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিতে। তাই আমরা দলীয় কর্মসূচি চালিয়ে যাব। তিনি বলেন, আজকে দুবাইতে বসে, লন্ডনে বসে বাংলাদেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। তাই সবাইকে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে মাঠে নামতে হবে। সম্মেলনের কেমন জানি দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গাছাড়া ভাব দেখা যাচ্ছে।
Discussion about this post