ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ ডিজিটাল হয়েছে। আগামী ২০৪১ সালে সেই বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি এই চারটি ভিত্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আমাদের পুরো সমাজটাই হবে প্রযুক্তি বান্ধব।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমার ৭৬ বছর বয়স। বেশিদিন তো আর (বাঁচবো না)… যে কোনোদিন অক্কা পেতে পারি, তাই না? যে কোনোদিন চলে যেতে পারি। তারওপর গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলা… তারেক জিয়া-খালেদা জিয়াতো আমাকে ছেড়ে দেয়নি। বারবার আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। কিন্তু আমি বেঁচে গেছি। আমি আমার পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি। বেঁচে থাকলে বাস্তবায়ন করবো, না হয় আমাদের তরুণরা করবে।’ সরকার প্রধান বলেন, ‘২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান, সেটাও করে দিয়ে গেলাম। ২০২১ থেকে ২০৪১ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়ে গেলাম।… আর ২১০০ সালে এই বদ্বীপ, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যেন এই বদ্বীপে জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষা পায়। দেশ উন্নত হয় এবং উন্নত দেশে স্বাধীনভাবে সুন্দরভাবে স্মার্টলি যেন তারা বাঁচতে পারে। এখন সব নির্ভর করছে আমাদের ইয়াং জেনারেশনের উপর, যুব সমাজের উপর।’ তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করা হয়েছে বলেই করোনাকালে কোনো কাজ থেমে থাকেনি। আমার অফিস থেকে শুরু করে আদালত, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি অফিসসহ সবকিছু ভার্চুয়ালি চলমান ছিল।
Discussion about this post