ঢাকা: ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলার’ অংশ হিসেবে দেখছেন ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভোলায় বিশৃঙ্খলা করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। আগস্ট মাস এলেই তারা ষড়যন্ত্র শুরু করে। বিএনপি আগস্ট মাসে লাশ চায় সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভোলার ঘটনা ঘটিয়েছে। মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ। গত রবিবার ভোলায় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত দলীয় বিক্ষোভ কর্মসূচির শুরুতে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত হন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। আগস্ট মাস আসলেই তাদের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র, দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা বেড়ে যায়। দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলার অংশ হিসেবে তাদের পরিকল্পনার অনুযায়ী ভোলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা মিছিল সমাবেশ করার জন্য পুলিশের কাছে থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি।’ ‘ভোলায় যে বিএনপির নেতা নিহত হয়েছে সেটা তার মাথায় আঘাতের কারণে হয়েছে। বিএনপির নেতা নিহতের ঘটনায় ডাক্তার বলেছেন ইট পাটকেলের আঘাতের কারণে তিনি মারা গেছেন পুলিশের গুলিতে নয়।’ বিএনপির নেতারা ইট পাটকলে নিক্ষেপ করেছে অভিযোগ করে ক্ষমতাসীন দলের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা যে শুধু ইট পাটকলে নিক্ষেপ করেছে তা নয়, তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গুলিও ছুঁড়েছে। বিএনপির অফিসে পুলিশের এক সদস্যকে ধরে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধরও করছে।’ লাগাতার হরতাল দিয়ে রাজপথ দখল করা হবে বলে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩ সালের মতো সেই দিন আর আসবে না। দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জবাব দেয়া হবে।’ ‘বিএনপির নেতারা রাজপথ দখল করবে আমরা সবাই (আওয়ামী লীগ) রাজপথে নামলে কি হবে সেটা হলো প্রশ্ন। আমরা এখনো নেতাকর্মীদের সেই (রাজপথে নামার) আহবান জানাইনি। বিএনপি যদি দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, বিশৃঙ্খলা অপচেষ্টা করে তাহলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করব।’
Discussion about this post