ডেস্ক রিপোর্ট: আবারও উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টার মাথায় এই পরীক্ষা চালালো পিয়ংইয়ং। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো ট্রেন থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। পাহাড়ি অঞ্চলে রেললাইনে করে নিয়ে আসা হয় অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সব সরঞ্জাম। উত্তর কোরিয়ার দাবি, নতুন এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ৮০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। বৃহস্পতিবার ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রটিও সফলভাবে সমুদ্রের নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দাবি করে পিয়ংইয়ং।প্রতিনিয়ত নিজেদের সামরিক সক্ষমতার প্রদর্শন করে চলেছে উত্তর কোরিয়া। নিজেদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতেই এই পরীক্ষা বলেও দাবি করা হয়। বিশেষ করে স্থল, জলপথ এমনকি ট্রেন থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দেশটির বৈচিত্রময় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থার প্রমাণ দিয়েছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার ট্রেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ গতি দিলেও সঙ্কটের সময় দেশটির তুলনামূলক ছোট ও সহজ রেলপথ সহজেই গুঁড়িয়ে দিতে পারে শত্রুপক্ষ।এর কয়েক ঘণ্টা আগেই সাবমেরিন থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার চালায় দক্ষিণ কোরিয়া। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উত্তর কোরিয়ার টানা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্যেই এই পরীক্ষা চালায় সিউল। যদিও পাল্টা কোনো ব্যবস্থা হিসেবে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করা হয়নি বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন আলোচনা প্রক্রিয়ার মধ্যেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং। এরমধ্য দিয়ে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। এরইমধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রও। উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। অঞ্চলটিতে শান্তি স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় দেশটিকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের কোনো বিকল্প নেই বলেও জানায় সংস্থাটি।
Discussion about this post