মোস্তাফিজুর রহমান সুজন(পটুয়াখালী): মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকুরি করে ৮ বছরের মাথায় চাকুরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন মোসা. মাসুমা বেগম। আবার ৪১ মাসের মাথায় পূর্বেরই পদে যোগ দিয়ে চাকুরি করছেন তিনি। পাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানিক সকল সুযোগ-সুবিধা। বিধি বর্হিভুত এমন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যে কারনে অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার স্বেচ্ছাচারিতা বেড়েই চলছে। র্দীঘদিন পরে অবৈধ ভাবে একই পদে যোগদানের একটি অডিও রেকর্ড ইতোমধ্য নানা মহলে ছরিয়ে পরেছেন। বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ছোটডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সমাজ-বিজ্ঞান বিভাগে সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকুরি করছেন মোসা. মাসুমা বেগম। এসব ঘটনায় শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্র বলেন-২০১১ সালের ৪ এপ্রিলে সহকারী শিক্ষিকা পদে যোগদান করেন মোসা. মাসুমা বেগম। ২০১২ সালের ১ নভেম্বর এমপিও ভুক্ত হন তিনি। কিন্তু চাকুরির যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানে না আসলেও নিয়মিত বেতন-ভাতা নিতেন তিনি। যা বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার রেজুলিউশনে স্পষ্ট লিপিবদ্ধ রয়েছে। এরপর শারিরীক অক্ষমতা দেখিয়ে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন তিনি। মাসুমার অব্যাহতির বিষয়টি স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় গৃহীত হলে তার এমপিও কর্তনের জন্য ঢাকায় চিঠি পাঠান স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মাহাবুব আলম। প্রধান শিক্ষকের আবেদনে শিক্ষা অধিদপ্তর এমপিও থেকে মাসুমার নাম কর্তন হয়। যা শিক্ষা অধিদপ্তরের অনলাইন পোর্টালে স্পষ্ট রয়েছে। এদিকে ২০২২ সালে ১৩ আগষ্ট অর্থাৎ চাকুরি থেকে অব্যাহতি নেয়ার ৪১ মাস পরে পূর্বের পদে যোগদান করেন মাসুম। মাসুমার যোগদানের ক্ষেত্রে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো লিখিত মতামত ছিলনা। এঘটনায় সংশ্লিষ্টদের মাঝে ক্ষোভ ও দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। অভিযোগ দেয়া হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে। অভিযুক্ত শিক্ষিকা মোসা.মাসুমা বেগম বলেন-এটাতো বোঝার বাকি নাই যে, আমি কোথা থেকে কোথায় আসছি। সবাইতো এই লেবেলটা ঘুরে আসতে পারে না। এতদিন অনুপস্থিত থাকার পরও চাকুরি রিজাইন দেওয়ার ৪ বছর পর কেউ যোগদান করতে পারবে কিনা আমার জানা নেই, তবে আমি সরল রেখায় কাঁটা লাইনে কাজ করে যোগদান করেছি। এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক মাহাবুব আলম বলেন-তিনি অব্যাহতি নেয়ার পর আমরা অনলাইনে কাগজ পাঠিয়েছি। কিন্তু শিক্ষা অধিদপ্তর এমপিও থেকে তার নাম কর্তন করেনি। পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সুপারিশে মাসুমাকে পূর্বের পদে বহাল করেছি। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মু. মজিবুর রহমান বলেন-অবৈধ যোগদান সর্ম্পকে শুনেছি। কিন্তু উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেবো।
Discussion about this post