আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের নাবিক থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমানের মরদেহ অবশেষে ইউক্রেন থেকে রোমানিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রোমানিয়ার বুখারেস্টে পৌঁছাতে পারে মরদেহটি। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাদিসুরের মরদেহ মলদোভার উদ্দেশে ইউক্রেন থেকে রওনা হয়। সেখান থেকে এখন যাবে রোমানিয়ায়। জানা গেছে, হাদিসুর রহমানের মরদেহ রোমানিয়ায় পাঠানোর সব দাফতরিক প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবারই মরদেহবাহী কফিনটি রোমানিয়ার উদ্দেশে যেতে পারত। তবে রোমানিয়া কর্তৃপক্ষ হাদিসুরের পরিবারের সম্মতিপত্র চায়। বাংলাদেশ থেকে তার পরিবারের সম্মতিপত্র পাঠানো হয়। সব শেষ করে মরদেহবাহী কফিনটি আজ রোমানিয়ার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মরদেহটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটার দিকে মলদোভায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখান থেকে রোমানিয়ার বুখারেস্টে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টা বাজতে পারে। তবে হাদিসুরের মরদেহ কবে নাগাদ বাংলাদেশে আসবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।এদিকে ইউক্রেনে হামলার শিকার ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের ২৮ নাবিক বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দেশে ফেরেন। সেদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ উইংয়ের মহাপরিচালক সিকদার বদিরুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, হাদিসুর রহমানের মরদেহ খুব শিগগিরই দেশে নিয়ে আসা হবে। তবে সময়টা ফিক্সড করে বলা যাবে না। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর চ্যানেলে আটকে পড়ে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। ২ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই জাহাজে হামলা হয়। এ হামলায় হাদিসুর মারা যান। জাহাজটিতে মোট ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন। পরে জীবিত ২৮ নাবিককে ৩ মার্চ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ইউক্রেনের একটি বাংকারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের নিরাপদে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। আর ইউক্রেনের একটি বাংকারে ফ্রিজআপ করে রাখা হয় হাদিসুরের মরদেহ।
Discussion about this post