দিনাজপুর প্রতিনিধি: মুক্তিপণের দাবিতে দিনাজপুরের খানসামায় অপহরণের ৫৬ ঘণ্টা পর মাটিতে পোঁতা বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশু আরিফুজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় খানসামা উপজেলার পাকেরহাটস্থ মহাসড়ক সংলগ্ন জিকরুলের মিলের পার্শ্বে নীলফামারী সদর থানার পুলিশের সাবেক গাড়ি চালক আব্দুস সালামের বাড়ির আঙ্গিনা খুঁড়ে বস্তাবন্দি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শিশু আরিফুজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশ এবং খানসামা থানা পুলিশসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দি হাত-পা বাঁধা সাত বছরের শিশু আরিফুজ্জামানের মরদেহ উদ্ধারের পর সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এ সময় বাড়ির মালিক নীলফামারী সদর থানার পুলিশের সাবেক গাড়ি চালক আব্দুস সালাম বাড়িতে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাড়িটিতে দুজন ভাড়াটিয়া রেখেছেন। তার মধ্যে ভাড়াটিয়া হিসেবে এক অপহরণকারী রয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় খানসামা উপজেলার ৪ নং খামারপাড়া ইউপির কায়েমপুর ডাক্তারপাড়া গ্রাম থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, অপহরণের ঘটনাটি ঘটে ২ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় খানসামা উপজেলার ৪ নং খামারপাড়া ইউপির কায়েমপুর ডাক্তারপাড়া গ্রামে। দিনমজুর আতিউর রহমানের ছেলে আরিফুজ্জামানকে অপহরণের পর মুঠোফোনে এক লাখ মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অভিযোগ পাওয়ার পর তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এ ঘটনায় আমরা সন্দেহভাজন তিন যুবকে আটক করি। আটককৃতরা হলেন- কায়েমপুর মাস্টারপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে শরিফুল (২৪), গফুর উদ্দীন শাহপাড়া গ্রামের ওবায়দুরের ছেলে শামীম (২২) ও একই এলাকার মো. রিয়াজুলের ছেলে শাহিনুর। অপহরণ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তারা অস্বীকৃতি জানালেও কৌশলে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে পুলিশ। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় খানসামা উপজেলার পাকেরহাটস্থ মহাসড়ক সংলগ্ন জিকরুলের মিলের পার্শ্বে নীলফামারী সদর থানার পুলিশের সাবেক গাড়ি চালক আব্দুস সালামের বাড়ির আঙ্গিনা খুঁড়ে বস্তাবন্দি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শিশু আরিফুজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশু আরিফুজ্জামান বাড়ির অদূরে চেহেলগাজী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বস্তাবন্দি মরদেহটি মিলেছে বাড়ি থেকে কমপক্ষে সাত কিলোমিটার দূরে।
Discussion about this post