ঢাকা : ১৮ বছরের কম বয়সীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া যায় কিনা সেসব কারিগরি বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন। অন্যদিকে সচিবালয় থেকে বৈঠকে অংশ নেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, টিকার বিষয়ে বৈঠকের পরিচিতি পর্বেই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যে, আমরা তো ১৮ বছর পর্যন্ত দিচ্ছি, ১৮ এর কম বয়সীদের দেওয়া যায় কি না তা এক্সপ্লোর করার জন্য, টেকনিক্যাল বিষয় দেখতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে। তিনি আরও বলেন, শুরুতে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পরে তা কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়। তৃতীয় দফায় কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়। চতুর্থ দফায় তা আরও কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়। এরপর তা আরও কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়। এরপর বয়সের সীমা আরও কমানো হয়। বর্তমানে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা করোনার টিকা নিতে পারছেন। গত ১৯ আগস্ট রাত থেকে সুরক্ষা অ্যাপে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ছাত্রছাত্রীদের জন্য টিকা নিবন্ধনের অপশন চালু করা হয়। দেশে ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের টিকার জন্য প্রথম নিবন্ধন করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এরপর বয়সসীমা কয়েক দফা কমিয়ে সর্বশেষ ২৫ বছর করা হয়। গত ২৯ জুলাই থেকে বয়স ২৫ হলেই টিকার জন্য নিবন্ধন করা যেতো।
Discussion about this post