চট্টগ্রামের সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মানের জন্য যারা কল কাঠি নাড়ছেন তাদের নিশ্চয়ই জানা আছে এই স্থানটির(সিআরবি) নগরবাসীর কত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। বর্তমান মহামারীতে আমাদের হাড়ে হাড়ে টের পেতে হয়েছে অক্সিজেন আমাদের কি প্রয়োজন। সেই অক্সিজেনের কারখানা হলো সিআরবি। হাসপাতাল অক্সিজেন দুটোই আমাদের প্রয়োজন এটাকে অস্বীকার করবার সুযোগ কারো নেই। সচেতন মহলের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে সিআরবি গুরুত্ব। বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যের ইতিহাসের স্বাক্ষী এই সিআরবি, এটাকে কোন কিছুর বিনিময়ে বা গালভর্তি রসময় বুলি ছুঁড়ে (সিআরবিকে) গুরুত্বহীন করবার কোন সুযোগ আছে বলে আমরা সচেতন মহল মনে করছিনা। বর্তমান পৃথিবীতে এমনিতেই পরিবেশের নানান বিপর্যয় দেখা দিয়েছে যা প্রতিরোধে নানান পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলছে বিশ্বময়। আমরাও কঠিন উদ্বেগের সাথে পরিবেশের এই বিপর্যয় দেখে আসছি এবং সাধ্যমত চেষ্টা চলছে বিপর্যয় রোধে। শুধু এলাকাবাসী নয় পুরো চট্রগ্রামবাসীর অক্সিজেনের চালিকা শক্তি এই সিআরবি। বিশেষ করে জোর আওয়াজে বলতে চাই আমাদের মহান স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত সিআরবি তে নানান স্থাপনা যেটা স্বরজমিনে দেখেও না দেখার ভান করা পুরোটাই আত্মঘাতী। এমনিতেই জনসংখ্যার জোয়ারে আমরা প্রতিনিয়ত হারাতে বসেছি আমাদের মুক্তভুমি। মুক্ত আকাশ,মুক্ত বাতাসে সকাল বিকাল শারিরীক পরিচর্যা ও মানসিক প্রশান্তির জায়গাগুলো। চট্টগ্রামের সিআরবি জিতে থাকুক নগরবাসীর আনাগোনায়,স্বীয় আত্মায় দোলা লাগুক স্নিগ্ধ সমীকরণের শীতল ছোঁয়া। আবাল বৃদ্ধ বণিতা সকলেই নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন গ্রহন করুক,মানব ফুসফুস ভরে উঠুক আপন মহিমায়। সচেতন মহলের কাছে বিনীত নিবেদন চোখ কান খোলা রাখুন কোন স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি মহল হাসপাতাল নির্মাণের উসিলায় আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের কোন বিন্দুতে আঘাত আনতে না পারে। ঠিক থাকুক সকল স্মৃতি সকল ভালোবাসা সকল ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক। কোন বিবেচনায়ই সিআরবি তে হাসপাতাল নির্মান কোবভাবেই নগরবাসীর জন্য সুখকর সংবাদ নয়। তাই ফিরে আসুন ঐসকল হঠকারী সিদ্ধান্ত হতে। জয় হোক জনতার,স্বার্থন্বেষী নিপাত যাক।
লেখক: এন এইচ বাদল
নাট্যকার,অভিনেতা
Discussion about this post