স্পোর্টস ডেস্ক: পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলেন সাবেক অধিনায়ক ও ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সাবেক স্বামী শোয়েব মালিক আরও একবার সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম রয়েছেন। জোর গুঞ্জন তৃতীয় স্ত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের। বিভিন্ন পাকিস্তানি মিডিয়া সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই দম্পতির সম্পর্কে ফাটল ধরা পড়েছে এবং তারা শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিতে পারেন। গালফ নিউজ২০২৪ সালের শুরুতে শোয়েব মালিক এবং সানা জাভেদ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানি মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্টগুলো দাবি করছে যে, তারা একটি কঠিন সময় পার করছেন এবং তাদের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত শোয়েব বা সানা কারও তরফ থেকেই এই গুঞ্জন নিয়ে কোনো প্রকার বক্তব্য বা নিশ্চিতকরণ কিছু আসেনি।এই গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে একটি ভাইরাল ভিডিওর মাধ্যমে, যেখানে শোয়েব এবং সানাকে একই ইভেন্টে দেখা গেছে। ভিডিওটিতে শোয়েব মালিককে তার ভক্তদের জন্য স্বাক্ষর দিতে দেখা যায়, অন্যদিকে সানা জাভেদ তখন দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং তার মুখ সম্পূর্ণরূপে অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়া ছিল। তারা জনসমক্ষে একে অপরের সঙ্গে কোনো প্রকারের কথোপকথন বা যোগাযোগ রাখছিলেন না বলে ভিডিওটিতে দেখা গেছে।এই আচরণ নেটিজেন এবং ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। অনেকে এটিকে তাদের দাম্পত্য সম্পর্কে গভীর একটি সংকটের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। আবার অনেক ব্যবহারকারী এটিকে একটি সাধারণ দাম্পত্য বিবাদ হিসেবেও উড়িয়ে দিচ্ছেন, যেটা যেকোনো সম্পর্কের অংশ হতে পারে।এটি শোয়েব মালিকের তৃতীয় বিবাহ। তিনি প্রথমে আয়েশা সিদ্দিকির সঙ্গে প্রায় আট বছর সংসার করেছিলেন। এরপর ২০১০ সালে তিনি ভারতের বিশিষ্ট টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাকে বিয়ে করেন। শোয়েব এবং সানিয়ার একটি পুত্রসন্তান রয়েছে, যার নাম ইজহান মালিক। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে সানিয়া মির্জার পরিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শোয়েবের সঙ্গে সানিয়ার বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সানিয়ার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, সানিয়া সবসময়ই তার ব্যক্তিগত জীবনকে গোপন রাখতে পছন্দ করতেন। তিনি শোয়েবকে তার জীবনের নতুন অধ্যায়ের জন্য শুভকামনা জানান। আমরা অনুরোধ করছি যে সকল ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার এই গোপনীয়তাকে সম্মান প্রদর্শন করবেন।৪৩ বছর বয়সী শোয়েব মালিক একজন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার হিসেবে পাকিস্তান ক্রিকেট দলে দীর্ঘদিন ধরে নিজের স্থান করে নিয়েছিলেন। তিনি ২০০৭ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি পাকিস্তানের হয়ে ৩৫টি টেস্ট ম্যাচ, ২৮৭টি ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনাল এবং ১২৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ১ হাজার ৮৯৮ রান, ওয়ানডেতে ৭ হাজার ৫৩৪ রান এবং টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার ৪৩৫ রান সংগ্রহ করেছেন। বল হাতে তিনি টেস্টে ৩২টি, ওয়ানডেতে ১৫৮টি এবং টি-টোয়েন্টিতে ২৮টি উইকেট শিকার করেন।তার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল ২০২১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বর্তমানে তিনি সক্রিয়ভাবে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছেন। সম্প্রতি, তিনি পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)-এর ২০২৫ সিজনে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলেন, সেখানে তিনি পর্যন্ত দুটি ইনিংসে ১৪ রান করেছেন। তার পিএসএল ক্যারিয়ারে তিনি চারটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে মোট ৯৩টি ম্যাচ খেলে ২ হাজার ৩৫০ রান সংগ্রহ করেছেন।
























































Discussion about this post