আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মিথ্যা অজুহাতের দোহাই দিয়ে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া হামলা চালাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জো বাইডেনের মতে রাশিয়ার আগ্রাসনের হুমকি ‘‘খুবই প্রবল’’। প্রমাণ হিসেবে ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়া আরো সেনা মোতায়েনের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। পশ্চিমা সামরিক জোট-ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা শুরু হয়। প্রায় দেড় লাখ রুশ সেনা ইউক্রেনের সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। বেলারুশের সঙ্গে দশ দিনের সামরিক মহড়াও করেছে দেশটি। সংঘাতের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সংকট নিরসনের লক্ষ্যে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করে পশ্চিমা মিত্ররা। যদিও এ আলোচনাকে কার্যকর হিসেবে মানতে নারাজ রাশিয়া। আলোচনার পথ আরো প্রশস্ত করতে কিছু সেনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি করলেও পশ্চিমা শক্তিরা তা অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, সেনা সরানোর পরিবর্তে উল্টো আরো সেনা মোতায়েন করছে রাশিয়া। যেকোনো সময় মিথ্যা অজুহাত দিয়ে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। এর আগে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার আশ্বাস দিলেও সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে পশ্চিমারা। কানাডা ইউক্রেন থেকে কিছু সেনা সরিয়ে নিয়েছে। জার্মানিও ট্যাংক পাঠাবে না বলে জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পোলেন্ডে সেনা পাঠিয়েছে। তারা ইউক্রেনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে না। শুধুমাত্র পোলেন্ডে অবস্থান করে মিত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। বিশ্লেষকদের ধারণা, রাশিয়ার সেনারা মাত্র চারদিনের মধ্যে ইউক্রেন দখল করতে পারবে। ফলে, ইউক্রেনের বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকা অসম্ভব হয়ে যাবে। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করেছিল রাশিয়া। তখনও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হলেও আদৌতে কিছুই হয়নি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন, ভবিষ্যতে কখনো ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগদান করবে না, এর নিশ্চয়তা পশ্চিমাদের দিতে হবে। যদিও এখনো এ ধরনের কোনো নিশ্চয়তা ন্যাটোর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।
Discussion about this post