ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. শহীদুল ইসলামকে সরিয়ে আনছে সরকার। র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের জারি করা নিষেধাজ্ঞাসহ দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও কয়েকটি বিষয়ের প্রেক্ষিতে সরকার বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ এই মিশনে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ কারণে শহীদুলকে সরিয়ে সেখানে নতুন রাষ্ট্রদূত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ওয়াশিংটন মিশনে পরিবর্তন আনার বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সম্প্রতি আলোচনা হয়েছে। এরপরই রাষ্ট্রদূত শহীদুলকে ফিরিয়ে তার স্থলে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে কূটনীতিক মোহাম্মদ ইমরানকে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মোহাম্মদ ইমরানের বিষয়ে অনাপত্তিপত্র (এগ্রিমো) চাওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক জবাব না এলেও মনোনীত রাষ্ট্রদূত ইমরানের বিষয়ে দেশটির কোনো আপত্তি থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। চিকিৎসাবিদ্যায় পড়াশোনা করা পেশাদার কূটনীতিক মোহাম্মদ ইমরান এখন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আড়াই বছর আগে মিশনের দায়িত্ব নিয়ে দিল্লিতে যাওয়া এই কূটনীতিকের নিয়োগের মেয়ার গত ফেব্রুয়ারিতে আরও ৩ বছর বাড়ায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এখন ওয়াশিংটনে মিশনের জন্য মনোনীত হওয়ায় আগের চুক্তি বাতিল করে তাকে নতুনভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেবে সরকার। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়াশুনা সম্পন্ন করা শহীদুল ইসলাম বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা। অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক কলকাতা, জেনেভা ও ওয়াশিংটন মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া ও ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেন পেশাদার কূটনীতিক শহীদুল ইসলাম। সেই হিসেবে চলতি বছরের শেষ দিকে নিয়োগের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই তাকে ফিরিয়ে আনছে সরকার।
Discussion about this post