ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তানের কাছে হেরে যাওয়া ভারতের কাছে চিরকালই বেদনার। রোববারের হারটি ছিল বেশ লজ্জার। সেই হার কিছুতেই মানতে পারেনি ভারত। এরমধ্যে পাকিস্তানের জয় নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে চাকরি হারিয়েছেন ভারতের এক শিক্ষিকা।গেল রোববার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিল ভারত-পাকিস্তান। টি-২০ বিশ্বকাপের মূলপর্বের শুরুতেই মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দেশ। গত মৌসুমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত অনেকটা এগিয়ে থাকলেও সেদিনের ম্যাচে পাকিস্তান অভূতপূর্ব বিজয় দেখায়। সেই বিজয় উদযাপন করার দায়ে জম্মু ও কাশ্মীরের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, জঙ্গি-বিরোধী আইনের আওতায় শ্রীনগরে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তরা রোববার ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয় উদযাপন করেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মেডিকেল কলেজ শ্রীনগর ও শেরে কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস হোস্টেলে নারী শিক্ষার্থীরা পাকিস্তানের জয়ে পাকিস্তানপন্থি স্লোগান দিচ্ছেন।
জেঅ্যান্ডকে পিপলস কনফারেন্সের নেতা সাজাদ লোন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নয়। এক টুইট বার্তায় বলেছেন, আমি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপে দ্বিমত পোষণ করছি। আপনারা মনে করতে পারেন তাদের দেশপ্রেম নেই। কিন্তু তারা একটি দলের জয়ে উল্লাস করেছে। আপনাদের সাহস ও বিশ্বাস থাকলে তাদের ভাবনা থেকে ফেরান। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কোনো কাজে আসবে না। অতীতেও আসেনি। সরকারি সূত্র বলছে, সোমবার শ্রীনগরের করণনগর ও সৌরায় থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে তাদের বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
এদিকে শিক্ষার্থীদের জয়োল্লাসের ভিডিও নিয়ে একটি কমিটি তদন্ত করা শুরু করেছে। কমিটি সেই তথ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন আকারে সরকারের কাছে জমা দেবে।মেডিকেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাকিস্তানের জয়উল্লাস মেডিকেল ইনস্টিটিউটের ভেতরে হয়নি। আমরা ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছি। অন্যদিকে ভারতের রাজস্থানে এক স্কুল শিক্ষিকা পাকিস্তানের জয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস শেয়ার করে চাকরি হারিয়েছেন। তিনি লেখেছেন ‘আমরা জিতেছি।’ সেই স্ট্যাটাস চোখে পড়ে যায় নাফিসার এক সহকর্মীর। তিনি জানতে চান, নাফিসা পাকিস্তান সমর্থক কি না? যার জবাবে নাফিসা জানিয়ে দেন, হ্যাঁ। মুহূর্তের মধ্যেই নাফিসার ওই পোস্ট ভাইরাল হয় ও তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হন।ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। বিষয়টি নজরেও পড়ে যায় নীরজা মোদি স্কুল কর্তৃপক্ষের। পরবর্তীতে ওই স্কুলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে নাফিসাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
পাকিস্তানের সমর্থনকারীদের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক ভারতীয় খেলোয়াড় গৌতম গম্ভীর। এক টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, যারা পাকিস্তানের জয়ে বাজি ফাটাচ্ছে তারা ভারতীয় হতেই পারে না। আমি আমাদের ছেলেদের পাশে রয়েছি।
Discussion about this post