স্পোর্টস রিপোর্ট: বায়ার্ন মিউনিখ চ্যাম্পিয়নস লিগ নক আউটে একবারই কাউকে গোলের মালা পরিয়েছিল। তাও আবার সাত গোলের অধিক। কোয়ার্টার ফাইনালে ২০২০ সালে বার্সেলোনাকে বিধ্বস্ত করেছিল ৮-২ গোলে। শেষ ষোলোয় এবার একই রকম তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো সলজবুর্গের। দ্বিতীয় লেগে তাদের ৭-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে জার্মান জায়ান্টরা। অথচ প্রথম লেগে ১-১ সমতায় মাঠ ছেড়েছিল ৬বারের চ্যাম্পিয়নরা। তাও আবার কিংসলে কোমান শেষ মিনিটে গোল পেয়েছিলেন বলে। এমন ম্যাচের পর কে ভেবেছিল রীতিমতো গোল উৎসবে মাতবে বায়ার্ন মিউনিখ! দুই লেগ মিলিয়ে বায়ার্নের স্কোর ছিল ৮-২। প্রথম ২৩ মিনিটেই ম্যাচের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করে দেন পোলিশ অধিনায়ক রবের্ত লেভানদোভস্কি। ১২ ও ২১ মিনিটের পর ২৩ মিনিটে পূরণ করেন হ্যাটট্রিক। যার মধ্যে প্রথম দুটি আসে স্পট কিক থেকে। অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগে ২৩ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক পূরণ করার নজির এটাই প্রথম। তবে দ্রুততম নয়। টুর্নামেন্টে ৮ মিনিটে তিন গোল করার একমাত্র কীর্তিটি বাফেতিম্বি গোমিসের। ২০১১ সালে লিওঁর হয়ে দ্রুততম হ্যাট্রিটকি করেছিলেন। লেভানদোভস্কির কীর্তি গড়ার দিনে বাকিটা সময় শুধু জাল কাঁপিয়েই উৎসব করেছে বায়ার্ন। পরে একটি করে গোল করেন জনাব্রি (৩১ মিনিট), ম্যুলার (৫৪ ও ৮৩ মিনিট) ও সানে (৮৫ মিনিট)। ৭০ মিনিটে সলজবুর্গ একটি গোল শোধ দিলেও বায়ার্নের আধিপত্যে ভাটা পড়েনি তাতে। অপর ম্যাচে লাউতারো মার্তিনেসের অসাধারণ ফিনিশিংয়ের পরেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি ইন্টার মিলান। বরং দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলে হেরেও কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছে লিভারপুল। প্রথম লেগে জেতার সুবাদে ২-১ এগ্রেগেটে শেষ হাসি হেসেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।৬১ মিনিটে অসাধারণ এক গোলে স্কোরশিটে নাম তুলেছিলেন মার্তিনেস। ইন্টার দ্বিতীয় গোল আর এক্সট্রা টাইমের আশায় থাকলেও মুহূর্তেই সেটি উবে গেছে অ্যালেক্সিস সানচেস ৬৩ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে। দশ জনের দল নিয়ে পরে আর কিছুই করতে পারেনি তারা।
Discussion about this post