ঢাকা : দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে লক্ষ্যে রেখে নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সাতটি দল সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে একমত হয়েছে। এতে বিএনপির কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেননা। তবে তাদের লক্ষ্য সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে বৈঠকে বসের সাতটি দলের নেতারা। এতে অংশ নেয় জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ হবে না- এমন আশঙ্কার ব্যপারে একমত হন বৈঠকে অংশ নেয়া নেতারা। জেএসডি সভাপতি আ স ম রব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া দলগুলোর আরও অনেক নেতা অংশ নেন। বৈঠকে নেতারা ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়া এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছেন। এ অবস্থা বজায় রেখে সমমনা সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। সাত দলের শীর্ষ নেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঠামো, কাজের পরিধি, মেয়াদকালসহ নানা বিষয়ে অন্যান্য দলের সঙ্গেও আলোচনা করবেন। তবে এই প্রক্রিয়াকে তারা রাজনৈতিক জোট হিসেবে বিবেচনা না করে ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’ হিসেবে দেখছেন।
Discussion about this post