আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইকুয়েডরের কারাগারে দাঙ্গার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রেসিডেন্ট গিয়ারমো লাসো একথা জানিয়েছে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। এ ধরনের প্রাণঘাতী দাঙ্গার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে তিনি অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী পাঠাবেন ও তহবিল ছাড় করাবেন বলেও জানিয়েছেন লাসো। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে গুয়াইয়াস প্রদেশের পেনিতেনসিয়ারিয়া ডেল লিতোরাল কারাগারে দাঙ্গার এ ঘটনাটি ঘটে। এতে আরও ৮০ জন বন্দি আহত হন। গত কয়েক মাসে এই কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছিল। ইকুয়েডরের বৃহত্তম শহর গুয়াইয়াকিলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট লাসো বলেন, “এটা দুর্ভাগ্যজনক যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে অপরাধী গোষ্ঠীগুলো কারাগারকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে। আমরা যেন আরও প্রাণহানী এড়াতে পারি এবং ইকুয়েডরকে আশীর্বাদ করার জন্য আমি জন্য খোদার কাছে মিনতি জানাই।” ইকুয়েডরের কারাগারগুলোতে এ পর্যন্ত যেসব সহিংসতার খবর হয়েছে তার মধ্যে মঙ্গলবারের দাঙ্গাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী ছিল। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ইকুয়েডরের আরেকটি কারাগারে দাঙ্গায় অন্তত ৭৯ জন এবং জুলাইতে আরেকটিতে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছিল। মঙ্গলবারের দাঙ্গার পর স্বজনদের খবর নিতে বহু মানুষ কারাগারটির সামনে ভিড় করে এবং কারাবন্দিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা দাবি করে। সরকার কারাগারটির চারপাশে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করে। নিহত ও আহত বন্দিদের পরিবারগুলোকে রাষ্ট্র সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন লাসো। বুধবার সকালে দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পবর্তমালার এ দেশটির প্রসিকিউটর দপ্তর জানায়, পেনিতেনসিয়ারিয়া ডেল লিতোরাল কারাগারে যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ছয় জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। এর আগে আন্তঃ-আমেরিকান কমিশন অন হিউম্যান রাইটস (আইএসিএইচআর) এসব সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কারাগারে সহিংসতার পূর্ণ তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ইকুয়েডর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। আগস্টে প্রেসিডেন্ট লাসো বলেছিলেন, জনাকীর্ণ কারাগারগুলোতে নতুন ওয়ার্ড তৈরি করতে ও নিরাপত্তার উন্নতি ঘটাতে নতুন সরঞ্জাম স্থাপনের জন্য সরকার আরও অর্থ বরাদ্দ দেবে।
Discussion about this post