রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ,২০২১
Bangla Versionরাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীতে এক প্রবাসীর বাড়িতে বসেছে প্রায় অর্ধ শতাধিক মৌচাক। আর তা থেকে প্রতি বছর ৩ থেকে ৪ মন টাটকা খাঁটি মধু আহরণ করা হচ্ছে। ফলে অনেক মৌয়াল মাঠে মধু পাতলেও এখন ওই বাড়ি থেকেই মধু সংগ্রহ করছে।রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের কানাডা বাজার সংলগ্ন মুন্সিবাড়ির দোতলা বাড়িতে বসেছে প্রায় অর্ধশত মৌমাছির মেলা। গত ৪ বছর ধরে রহস্যজনভাবে এ শীত মৌসুমে মৌমাছিরা ওই দোতলা বাড়িতে এসে মৌচাক তৈরি করে মধু আহরণ করে। পুরো বছর ধরেই কম বেশি মৌমাছি থাকে ওই বাড়িতে। এসব মৌচাক থেকে সংগ্রহকৃত মধু বিক্রির টাকা নিজে ভোগ না করে অসহায় মানুষের মধ্যে বণ্টন করে থাকেন বাড়ির মালিক সেকান্দার মুন্সি। জানা যায়, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের গুঞ্জরনে মুখরিত থাকে এলাকা। এ যেন মৌমাছির অভয়াশ্রম। মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে উড়ছে মৌমাছির দল। সেখানে দোতলায় প্রায় অর্ধশত চাক গড়ে তুলেছে মৌমাছিরা, দোতলা বাড়ির পশ্চিম দিকের কার্নিশে পুরো বাড়ি যেন দখল নিয়েছে এরা। মূল ফটকের উপরের দোতলায় বাসা বেঁধেছে মৌমাছি। উৎসুক জনতা প্রতিদিনই মৌমাছির চাক দেখতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সেখানে ভিড় করছে। চারদিকে ছেয়ে গেছে মৌমাছির চাকে।বাড়ির মালিক সেকান্দার মুন্সি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে আমার দোতলা ভবনটিতে মৌমাছির ২৩টি চাক আমার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আশ্রয় নেওয়ার পর এখন ২০২০ সাল পর্যন্ত অর্ধশত মৌমাছির চাক তৈরি হয়েছে। মৌমাছির চাকগুলো আমাদের কোনো ক্ষতি করে না।তিনি আরও জানান, সারা বছর ৪ থেকে ৫টি মৌচাক থাকে। কিন্তু শীত এলেই ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি এসে তার বাড়িতে মৌচাক তৈরি করে। গত বছর এই শীত মৌসুমে ৩০টি মৌচাক ছিল। এবার ইতোমধ্যেই ৫০টি মৌচাক বসেছে। এর সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যাবে। এসব মৌচাক থেকে সংগ্রহকৃত মধু বিক্রি করে তিনি যে টাকা পান তা দিয়ে গরীব মানুষের মধ্যে কাপড় চোপড় এবং গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার খরচ দেন। তিনি নিজে একটি টাকাও ভোগ করেন না।চাকগুলো মৌয়াল দিয়ে কাটার পর যে টাকা পাই, তা গত বছর এতিমদের জন্য একটি মাদরাসায় দিয়ে দিয়েছি। যেহেতু এ বছর মৌমাছির চাক বেশি তাই টাকাও বেশি পাব। চিন্তা করেছি আরও ৩ থেকে ৪টা এতিমখানা ও মাদরাসায় এ টাকা দিয়ে দিবো।পাশের কানাডা বাজারের মুদি দোকানদার মো. আইয়ুব আলী বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চাকগুলো দেখার জন্য উৎসুক জনতা ভিড় করছে। তারা মৌমাছির চাকগুলো দেখে আসল মধু বুঝতে পেরে আমাদের দোকান থেকে মধু কিনে নিয়ে যাচ্ছে।ভ্যানচালক জালাল মণ্ডল বলেন, আমার বাড়ির পাশের প্রতিবেশি সেকান্দার ভাইয়ের বাড়িতে মৌমাছির চাকগুলো বসেছে। এলাকায় আমি ভ্যান চালিয়ে খাই। আমার এই ভ্যানগাড়িতে রাজবাড়ী শহরের লোকজনকে মৌমাছির চাক দেখতে নিয়ে আসি। তারা দোতলাবাড়ির বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে চাকগুলো দেখে খুবই আনন্দ পায়।মৌয়াল বলেন, গত বছর সে ওই বাড়ির চাক কেটে দেড় লাখ টাকার মধু বিক্রি করেছে। এবার আরও বেশি মধু পাওয়ায় যাবে। আর বিক্রিও বেশি হবে।রাজবাড়ী কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মুফখারুল ইসলাম জানান, এবছর রাজবাড়িতে অধিক পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ হওয়াতে ফুলের পরিমাণ বেশি রয়েছে। আর ওই এলাকার কৃষকরা সরিষা ক্ষেতে কোনো বিষাক্ত ওষুধ ব্যবহার না করায় সেই ফুলের মধু বিষমুক্ত দেখে সব মৌমাছি ওই বাড়ির দোতালায় নিরাপদ মনে করায় সেখানেই তারা বাসা বেঁধেছে।
ভ্যাকসিন নিয়ে ভালো আছেন প্রবাসীরা
জার্মানিতে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে বিপর্যস্ত প্রবাসী বাংলাদেশিরা
লকডাউনের মধ্যে দেশে ফিরলেন ৬০ লন্ডন প্রবাসী
করোনার ‘কঠিন পরিস্থিতি’র মধ্যে এলেন আরো ৩৪ যুক্তরাজ্যপ্রবাসী
প্রবাসীর বাড়িতে অর্ধশত মৌচাক, বছরে ৪ মন মধু আহরণ
লন্ডন থেকে সিলেটে আসলেন ৪৭ প্রবাসী
যুক্তরাজ্য ফেরত ১১ যাত্রী দিয়ে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন শুরু
ইতালিতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন স্বর্ণা
লন্ডন থেকে ফিরলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন